, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পলাশী ট্রাজেডি দিবসের আলোচনায় ডাঃ ইরান পলাশীর শিক্ষা নিয়ে ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদী অপশক্তিকে রুখতে হবে মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ইন্জিনিয়ার ইশরাক ১৬ জুন সংবাদপত্রের কালো দিবস ফ্যাসিবাদের দোসরদের মুখোশ উন্মোচনের দিন বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের পক্ষ থেকে বিশ্ব মানবতাবাদী রাষ্ট্রসমূহের নিকট স্মারকলিপি স্থানীয় নির্বাচন আগে দিয়ে প্রশাসনের ফিটনেস যাচাই করা উচিত – অবরুদ্ধ নুরুল হক নুর কে সেনাবাহিনী উদ্ধার করে বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ সংবিধান পরিপন্থী, বৈষম্যমূলক ও দুদক সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনার সাথে সাংঘর্ষিক: রাশেদ খাঁন বাংলাদেশ লেবার পার্টিকে নিবন্ধন দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ খুনিরা মহাসুখে, খাচ্ছে, ঘুরছে, সেলফি তুলছে! পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু আজ

খুনিরা মহাসুখে, খাচ্ছে, ঘুরছে, সেলফি তুলছে!

  • নাজমুল রনি
  • প্রকাশের সময় : ০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ এপ্রিল ২০২৫
  • ৬৩ পড়া হয়েছে

৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর শেখ পরিবারের সদস্যরা নিরাপদ আশ্রয়ে গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগের বহু নেতাকর্মী বিপদের সম্মুখীন হলেও শেখ পরিবারের সদস্যরা বহাল তবিয়তে রয়েছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একবার বলেছিলেন, তার কিছু আত্মীয় ঝড়ের পূর্বাভাস আগাম পেয়ে যান এবং নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান। ৫ আগস্টের ঘটনার পর তার কথার সত্যতা ফুটে উঠেছে।

নেতাকর্মীদের দুর্দশা, শেখ পরিবারের নিরাপত্তা
সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের বহু নেতাকর্মী মামলা, গ্রেপ্তার ও হামলার শিকার হয়েছেন। অনেকেই আত্মগোপনে বা কারাগারে রয়েছেন। তবে আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় থাকা সময়ে সুবিধাভোগী শেখ পরিবারের সদস্যরা নিরবিচারে দেশ ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছেন বলে জানা গেছে।

শেখ পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগ
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এবং তার দুই ছেলে শেখ ফজলে ফাহিম ও শেখ ফজলে নাঈম সরকার পতনের আগে দেশ ছেড়েছেন। একইভাবে শেখ ফজলে শামস পরশ ও শেখ ফজলে নূর তাপসও বিদেশে অবস্থান করছেন। শেখ সেলিমের ভাই শেখ ফজলুর রহমান মারুফও সিঙ্গাপুরে অবস্থান করছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ ও তার ছোট ছেলে সুকান্ত আবদুল্লাহ ভারতে চলে গেছেন। হাসানাতের মেয়ে আঞ্জুমানারা কান্তা আবদুল্লাহ দীর্ঘদিন ধরে ভারতে অবস্থান করছেন। শেখ পরিবারের আরও এক সদস্য, নূর-ই আলম চৌধুরী (লিটন চৌধুরী) ও তার ভাই মুজিবুর রহমান চৌধুরী (নিক্সন চৌধুরী) আত্মগোপনে রয়েছেন।

নিরাপদ আশ্রয়ে বিতর্কিত ব্যক্তিরাও
ঢাকা ওয়াসার সাবেক এমডি তাকসিম এ খান, যিনি শেখ হাসিনার ফুপা ইলিয়াস চৌধুরীর আত্মীয়, যুক্তরাষ্ট্রে চলে গেছেন। এছাড়াও বঙ্গবন্ধুর চাচাতো ভাই শেখ কবির হোসেন ও শেখ হাফিজুর রহমান কোথায় আছেন, তা কেউ জানেন না।

শেখ রেহানার দেবর মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, যিনি আওয়ামী লীগের ক্ষমতার বলয়ে অন্যতম প্রভাবশালী ছিলেন, তিনিও আত্মগোপনে রয়েছেন।

দেশের বর্তমান বাস্তবতা
৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগের সাধারণ নেতাকর্মীরা হামলা, মামলা ও গ্রেপ্তারের শিকার হলেও শেখ পরিবারের সদস্যরা নিরাপদ আশ্রয়ে থেকে আরামদায়ক জীবন যাপন করছেন। শেখ হাসিনার বক্তব্যই প্রমাণ করে যে ক্ষমতার পালাবদলের আগেই তারা সতর্ক ছিলেন এবং নিজেদের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছিলেন।

এ নিয়ে আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এক স্থানীয় নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, “আমরা দেশে পালিয়ে বেড়াচ্ছি, আর তারা বিদেশে বিলাসী জীবনযাপন করছে। এটাই কি আমাদের পুরস্কার?”

জনপ্রিয়

পলাশী ট্রাজেডি দিবসের আলোচনায় ডাঃ ইরান পলাশীর শিক্ষা নিয়ে ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদী অপশক্তিকে রুখতে হবে

খুনিরা মহাসুখে, খাচ্ছে, ঘুরছে, সেলফি তুলছে!

প্রকাশের সময় : ০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ এপ্রিল ২০২৫

৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর শেখ পরিবারের সদস্যরা নিরাপদ আশ্রয়ে গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগের বহু নেতাকর্মী বিপদের সম্মুখীন হলেও শেখ পরিবারের সদস্যরা বহাল তবিয়তে রয়েছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একবার বলেছিলেন, তার কিছু আত্মীয় ঝড়ের পূর্বাভাস আগাম পেয়ে যান এবং নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান। ৫ আগস্টের ঘটনার পর তার কথার সত্যতা ফুটে উঠেছে।

নেতাকর্মীদের দুর্দশা, শেখ পরিবারের নিরাপত্তা
সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের বহু নেতাকর্মী মামলা, গ্রেপ্তার ও হামলার শিকার হয়েছেন। অনেকেই আত্মগোপনে বা কারাগারে রয়েছেন। তবে আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় থাকা সময়ে সুবিধাভোগী শেখ পরিবারের সদস্যরা নিরবিচারে দেশ ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছেন বলে জানা গেছে।

শেখ পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগ
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এবং তার দুই ছেলে শেখ ফজলে ফাহিম ও শেখ ফজলে নাঈম সরকার পতনের আগে দেশ ছেড়েছেন। একইভাবে শেখ ফজলে শামস পরশ ও শেখ ফজলে নূর তাপসও বিদেশে অবস্থান করছেন। শেখ সেলিমের ভাই শেখ ফজলুর রহমান মারুফও সিঙ্গাপুরে অবস্থান করছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ ও তার ছোট ছেলে সুকান্ত আবদুল্লাহ ভারতে চলে গেছেন। হাসানাতের মেয়ে আঞ্জুমানারা কান্তা আবদুল্লাহ দীর্ঘদিন ধরে ভারতে অবস্থান করছেন। শেখ পরিবারের আরও এক সদস্য, নূর-ই আলম চৌধুরী (লিটন চৌধুরী) ও তার ভাই মুজিবুর রহমান চৌধুরী (নিক্সন চৌধুরী) আত্মগোপনে রয়েছেন।

নিরাপদ আশ্রয়ে বিতর্কিত ব্যক্তিরাও
ঢাকা ওয়াসার সাবেক এমডি তাকসিম এ খান, যিনি শেখ হাসিনার ফুপা ইলিয়াস চৌধুরীর আত্মীয়, যুক্তরাষ্ট্রে চলে গেছেন। এছাড়াও বঙ্গবন্ধুর চাচাতো ভাই শেখ কবির হোসেন ও শেখ হাফিজুর রহমান কোথায় আছেন, তা কেউ জানেন না।

শেখ রেহানার দেবর মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, যিনি আওয়ামী লীগের ক্ষমতার বলয়ে অন্যতম প্রভাবশালী ছিলেন, তিনিও আত্মগোপনে রয়েছেন।

দেশের বর্তমান বাস্তবতা
৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগের সাধারণ নেতাকর্মীরা হামলা, মামলা ও গ্রেপ্তারের শিকার হলেও শেখ পরিবারের সদস্যরা নিরাপদ আশ্রয়ে থেকে আরামদায়ক জীবন যাপন করছেন। শেখ হাসিনার বক্তব্যই প্রমাণ করে যে ক্ষমতার পালাবদলের আগেই তারা সতর্ক ছিলেন এবং নিজেদের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছিলেন।

এ নিয়ে আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এক স্থানীয় নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, “আমরা দেশে পালিয়ে বেড়াচ্ছি, আর তারা বিদেশে বিলাসী জীবনযাপন করছে। এটাই কি আমাদের পুরস্কার?”