, সোমবার, ১১ আগস্ট ২০২৫, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এর নেতৃত্বে বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুন:রুদ্ধারের যুগপৎ আন্দোলনে বিএনপির সাথের জোট ও দলের সাথে ধারাবাহিক বৈঠক শুরু করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। লেবার পার্টির জুলাই সমাবেশে নজরুল ইসলাম খান ফ্যাসিবাদ বিদায় করলেও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পারিনি বাংলাদেশ গেজেট মোতাবেক ২৬৯৬ টি মিশুকের পরিবর্তে সিএনজি অটোরিক্সা প্রতিস্থাপনে অযোগ্য ও অথর্ব স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পদত্যাগ ছাড়া স্বাস্থ্য খাতের সংস্কার সম্ভব নয় মুন্সিগঞ্জ জেলা চালক দলের সদস্য,সবুজ শিকদারের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। খুনি হাসিনার রেখে যাওয়া বাতিল বিমান চলবে না- রাশেদ প্রধান নির্বাচনে নৌকা প্রতীক থাকবে না- রাশেদ প্রধান। জুলাই ঐক্য না থাকলে জিতবে ফ্যাসিবাদী শক্তি – জাগপা নতুন বাংলাদেশে মিডফোর্ড হত্যাকাণ্ড গ্রহণযোগ্য নয়- রাশেদ প্রধান ভারতের ইন্ধনে সরকার উৎখাত ষড়যন্ত্রেলিপ্ত এনবিআর- রাশেদ প্রধান

বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের পক্ষ থেকে বিশ্ব মানবতাবাদী রাষ্ট্রসমূহের নিকট স্মারকলিপি

  • প্রকাশের সময় : ০১:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
  • ৪৪ পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক 

তারিখ: ১৬ জুন ২০২৫
প্রাপক: ওআইসি, আরব লীগ, জাতিসংঘ ও মানবতাবাদী রাষ্ট্রসমূহের সম্মানিত রাষ্ট্রপ্রধানগণ

বিষয়: ইরানে ইসরায়েলী আগ্রাসী ও বর্বর নৃশংস হামলার প্রতিবাদ এবং তা বন্ধে জরুরি হস্তক্ষেপের আবেদন

মাননীয় রাষ্ট্রপ্রধানগণ,
আসসালামু আলাইকুম / শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
বিশ্ব শান্তি, মানবিক মূল্যবোধ ও আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি আপনাদের দায়বদ্ধতা ও ভূমিকাকে আমরা সম্মান করি। এই স্মারকলিপির মাধ্যমে আমরা আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই—মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের সর্বশেষ নিষ্ঠুর অধ্যায়, যা ইরানের উপর একের পর এক সামরিক হামলার মাধ্যমে বর্তমানে চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে।

ইসরায়েল আজ শুধু এক আক্রমণাত্মক রাষ্ট্র নয়, বরং তা এক বেপরোয়া, হিংস্র ও মানবতা-বিরোধী আগ্রাসী শক্তিতে পরিণত হয়েছে।

ইতোপূর্বে তারা—
ফিলিস্তিনে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ দখল, বসতি স্থাপন, ঘরবাড়ি ধ্বংস এবং গাজায় গণহত্যার মতো মানবতা-বিরোধী অপরাধ চালিয়েছে;

লেবাননে বারবার সীমান্ত অতিক্রম করে বোমা বর্ষণ করেছে, হাজার হাজার মানুষকে হত্যা ও বাস্তুচ্যুত করেছে;

সিরিয়া, ইরাক ও অন্যান্য প্রতিবেশী দেশেও বেপরোয়া ড্রোন ও বিমান হামলা চালিয়েছে আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদের তোয়াক্কা না করে।

এখন তারা ইরানের জনগণের উপর একই বর্বরতা ও সন্ত্রাস চালাচ্ছে।
সার্বভৌম রাষ্ট্র ইরানের ভেতরে প্রবেশ করে সামরিক ও বেসামরিক স্থাপনাগুলোতে নির্বিচারে হামলা চালানো আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য এক ভয়াবহ হুমকি। এর মাধ্যমে ইসরায়েল আবারও প্রমাণ করেছে যে, তারা একটি “রক্তচক্ষু ও আগ্রাসনের নীতি” নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করতে চায়।

এই প্রেক্ষাপটে আমরা গভীর হতাশা প্রকাশ করছি—

ওআইসি ও আরব লীগ এই মহা সংকটে কার্যকর কোনো ঐক্যবদ্ধ ও সাহসী অবস্থান নিতে ব্যর্থ হয়েছে।

জাতিসংঘ ও নিরাপত্তা পরিষদ শুধু উদ্বেগ প্রকাশ করে দায়িত্ব এড়িয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বরং এই আগ্রাসনের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক হিসাবে ইসরায়েলকে সামরিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সমর্থন দিয়ে উৎসাহিত করেছে।

আমরা বাংলাদেশ লেবার পার্টির পক্ষ থেকে নিম্নোক্ত দাবিসমূহ বিশ্ব মানবতা ও বিবেকের দরজায় পেশ করছি:
১. ইসরায়েলের সাম্প্রতিক ও অতীত আগ্রাসনের বিরুদ্ধে শক্তিশালী আন্তর্জাতিক প্রতিবাদ ও চাপ প্রয়োগ।
২. জাতিসংঘে বিশেষ অধিবেশন ডেকে ইসরায়েলকে যুদ্ধাপরাধী রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে সোপর্দ করার উদ্যোগ।
৩. ওআইসি ও আরব লীগকে বিভাজনের ঊর্ধ্বে উঠে একটি কার্যকর প্রতিরোধমূলক কৌশল ও অবস্থান ঘোষণা করার আহ্বান।
৪. ইসরায়েল ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা, কূটনৈতিক চাপ ও সামরিক সহায়তা বন্ধের পদক্ষেপ গ্রহণ।
৫. ইরানসহ ফিলিস্তিন, লেবানন ও সিরিয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের জন্য জরুরি আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তা ও পুনর্বাসন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন।

বিশ্ব আজ এক ক্রান্তিকালে দাঁড়িয়ে। ইসরায়েলের এই হিংস্র ও বেপরোয়া আগ্রাসন এখনই রুখে না দিলে আগামীর সভ্যতা আরও ভয়াবহ সংঘাত ও ধ্বংসের পথে ধাবিত হবে।

আমরা সকল মানবতাবাদী, শান্তিপ্রিয় ও ন্যায়নিষ্ঠ রাষ্ট্রসমূহকে আহ্বান জানাই—
আসুন, মানবতার পক্ষে দাঁড়াই। আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হই। নিরপরাধ মানুষের পাশে থাকি। ইতিহাস যেন আমাদের নিরবতা নয়, সাহসিকতা ও ন্যায়বিচার দিয়ে মনে রাখে।

ঢাকা, বাংলাদেশ

বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এর নেতৃত্বে বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুন:রুদ্ধারের যুগপৎ আন্দোলনে বিএনপির সাথের জোট ও দলের সাথে ধারাবাহিক বৈঠক শুরু করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি।

বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের পক্ষ থেকে বিশ্ব মানবতাবাদী রাষ্ট্রসমূহের নিকট স্মারকলিপি

প্রকাশের সময় : ০১:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক 

তারিখ: ১৬ জুন ২০২৫
প্রাপক: ওআইসি, আরব লীগ, জাতিসংঘ ও মানবতাবাদী রাষ্ট্রসমূহের সম্মানিত রাষ্ট্রপ্রধানগণ

বিষয়: ইরানে ইসরায়েলী আগ্রাসী ও বর্বর নৃশংস হামলার প্রতিবাদ এবং তা বন্ধে জরুরি হস্তক্ষেপের আবেদন

মাননীয় রাষ্ট্রপ্রধানগণ,
আসসালামু আলাইকুম / শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
বিশ্ব শান্তি, মানবিক মূল্যবোধ ও আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি আপনাদের দায়বদ্ধতা ও ভূমিকাকে আমরা সম্মান করি। এই স্মারকলিপির মাধ্যমে আমরা আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই—মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের সর্বশেষ নিষ্ঠুর অধ্যায়, যা ইরানের উপর একের পর এক সামরিক হামলার মাধ্যমে বর্তমানে চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে।

ইসরায়েল আজ শুধু এক আক্রমণাত্মক রাষ্ট্র নয়, বরং তা এক বেপরোয়া, হিংস্র ও মানবতা-বিরোধী আগ্রাসী শক্তিতে পরিণত হয়েছে।

ইতোপূর্বে তারা—
ফিলিস্তিনে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ দখল, বসতি স্থাপন, ঘরবাড়ি ধ্বংস এবং গাজায় গণহত্যার মতো মানবতা-বিরোধী অপরাধ চালিয়েছে;

লেবাননে বারবার সীমান্ত অতিক্রম করে বোমা বর্ষণ করেছে, হাজার হাজার মানুষকে হত্যা ও বাস্তুচ্যুত করেছে;

সিরিয়া, ইরাক ও অন্যান্য প্রতিবেশী দেশেও বেপরোয়া ড্রোন ও বিমান হামলা চালিয়েছে আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদের তোয়াক্কা না করে।

এখন তারা ইরানের জনগণের উপর একই বর্বরতা ও সন্ত্রাস চালাচ্ছে।
সার্বভৌম রাষ্ট্র ইরানের ভেতরে প্রবেশ করে সামরিক ও বেসামরিক স্থাপনাগুলোতে নির্বিচারে হামলা চালানো আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য এক ভয়াবহ হুমকি। এর মাধ্যমে ইসরায়েল আবারও প্রমাণ করেছে যে, তারা একটি “রক্তচক্ষু ও আগ্রাসনের নীতি” নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করতে চায়।

এই প্রেক্ষাপটে আমরা গভীর হতাশা প্রকাশ করছি—

ওআইসি ও আরব লীগ এই মহা সংকটে কার্যকর কোনো ঐক্যবদ্ধ ও সাহসী অবস্থান নিতে ব্যর্থ হয়েছে।

জাতিসংঘ ও নিরাপত্তা পরিষদ শুধু উদ্বেগ প্রকাশ করে দায়িত্ব এড়িয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বরং এই আগ্রাসনের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক হিসাবে ইসরায়েলকে সামরিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সমর্থন দিয়ে উৎসাহিত করেছে।

আমরা বাংলাদেশ লেবার পার্টির পক্ষ থেকে নিম্নোক্ত দাবিসমূহ বিশ্ব মানবতা ও বিবেকের দরজায় পেশ করছি:
১. ইসরায়েলের সাম্প্রতিক ও অতীত আগ্রাসনের বিরুদ্ধে শক্তিশালী আন্তর্জাতিক প্রতিবাদ ও চাপ প্রয়োগ।
২. জাতিসংঘে বিশেষ অধিবেশন ডেকে ইসরায়েলকে যুদ্ধাপরাধী রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে সোপর্দ করার উদ্যোগ।
৩. ওআইসি ও আরব লীগকে বিভাজনের ঊর্ধ্বে উঠে একটি কার্যকর প্রতিরোধমূলক কৌশল ও অবস্থান ঘোষণা করার আহ্বান।
৪. ইসরায়েল ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা, কূটনৈতিক চাপ ও সামরিক সহায়তা বন্ধের পদক্ষেপ গ্রহণ।
৫. ইরানসহ ফিলিস্তিন, লেবানন ও সিরিয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের জন্য জরুরি আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তা ও পুনর্বাসন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন।

বিশ্ব আজ এক ক্রান্তিকালে দাঁড়িয়ে। ইসরায়েলের এই হিংস্র ও বেপরোয়া আগ্রাসন এখনই রুখে না দিলে আগামীর সভ্যতা আরও ভয়াবহ সংঘাত ও ধ্বংসের পথে ধাবিত হবে।

আমরা সকল মানবতাবাদী, শান্তিপ্রিয় ও ন্যায়নিষ্ঠ রাষ্ট্রসমূহকে আহ্বান জানাই—
আসুন, মানবতার পক্ষে দাঁড়াই। আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হই। নিরপরাধ মানুষের পাশে থাকি। ইতিহাস যেন আমাদের নিরবতা নয়, সাহসিকতা ও ন্যায়বিচার দিয়ে মনে রাখে।

ঢাকা, বাংলাদেশ